ঢাকা, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

তৃতীয় দিনেও প্রতিবাদে উত্তাল চুয়েট, বাসচালক গ্রেপ্তার

  প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪০  
আপডেট :
 ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০২

তৃতীয় দিনেও প্রতিবাদে উত্তাল চুয়েট, বাসচালক গ্রেপ্তার
ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়া শাহ আমানত বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার বাসচালকের নাম মো. তাজুল ইসলাম। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকায়।

আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত বাসচালককে নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহপাঠী নিহতের ঘটনার তৃতীয় দিনে এসেও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সামনে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে তাদের এ বিক্ষোভ শুরু হয়।

বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা সাতটি দফা দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।

শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- পলাতক চালক ও তার সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, নিহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা এবং আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসাধীন সকল খরচ শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে গ্রহণ করতে হবে, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার সাথে ক্যাম্পাসে আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স–সুবিধা বৃদ্ধি, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে শাহ আমানত ও এবি ট্রাভেলসসহ সকল লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করা, রাস্তার মাথা এলাকা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক করা, প্রতিটি বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স নিয়মিত যাচাই করা, ছাত্রকল্যাণ পরিষদকে জবাবদিহির আওতায় আনা এবং ছাত্র প্রতিনিধিদল গঠন করা।

এসব দাবি লিখিতভাবে না মানা পর্যন্ত চুয়েটের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম (ক্লাস, পরীক্ষা) স্থগিত থাকবে বলে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। তবে বুধবার সকাল থেকে আবারও কর্মসূচি শুরু হয়। নিজেদের দাবির পক্ষে নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

উল্লেখ্য, সোমবার (২২ এপ্রিল) আনুমানিক বেলা তিনটার দিকে রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে তিন শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেয় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী তওফিক হোসেন।

পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শাহ আমানত পরিবহনের চারটি বাস আটক করে তিনটি বাস ভাঙচুর ও একটি বাসে আগুন দেয়। পরদিন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন। সকাল থেকে চুয়েট ক্যাম্পাসের সামনের কাপ্তাই সড়কে গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত